অবৈধভাবে গাছ কেটে পদ হারালেন রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ
অবৈধভাবে গাছ কেটে পদ হারালেন রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ
৮:৪৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রু ১৮, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ টেন্ডার ছাড়াই অবৈধভাবে উপজেলা পরিষদের প্রাঙ্গণে থাকা গাছ কাটা এবং কুকুর কামড়ের ভ্যাকসিন যথাসময়ে সরবরাহ না করার দায়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সামছুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে অপসারণের বিষয়টি জানানো হয়। একই সাথে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মো. রাহিদ হোসেনকে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অার্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
আজাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি।
প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন বলেন, এ সংক্রান্ত একটি চিঠি আমি পেয়েছি। উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফত উদ্দিন আজাদকে অপসারণ করা হয়েছে। পরিষদের কার্যক্রমের দায়িত্ব উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে প্রদান করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়ে, যেহেতু লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গাছ কাটা এবং কুকুরের ভ্যাকসিন যথাসময়ে সরবরাহ না করা সংক্রান্ত অভিযোগ দুটি প্রমানিত হয় এবং তার বিরুদ্ধে দাখিলকৃত অনাস্থা প্রস্তাবের উপর গৃহীত ভোট গননায় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সহ ১২ জন পরিষদ সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবের ভোট গৃহীত হয়। সেহেতু সরকার জনস্বার্থে তাকে তার স্বীয় পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এতে আরও বলা হয়- তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বিভাগীয় কমিশনারের তদন্তে প্রমানিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে অপসারণকৃত উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদের মোবাইলে কল দিলে তিনি রিসিভ না করায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের দিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরীফ উদ্দিন আজাদের নেতৃত্বে স্থানীয় বন বিভাগের ১০টি বিভিন্ন প্রজাতির সরকারি গাছ টেন্ডার ছাড়াই কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ডাক বাংলো পুকুরের আশে-পাশে থাকা এসব গাছ পুকুর সংস্কার ও তার বাসভবনের সৌন্দর্য রক্ষার তাগিদ দেখিয়ে গাছ গুলো কাটা হয়।
এছাড়া ২০২০ সালের আগষ্টে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানরা আজাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে। এতে তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনে জনপ্রতিনিধিরা।